নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ-
নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার হরণী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জামসেদুল ইসলাম টুটুলকে একই ইউনিয়নের জিয়া মঞ্চের সভাপতি হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে। সম্প্রতি ঘোষিত ২০ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে তাঁর এই নিয়োগ ঘিরে দলীয় নেতাকর্মী ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, জামসেদুল ইসলাম টুটুল ছিলেন স্থানীয় সাবেক এমপি মোহাম্মদ আলীর ঘনিষ্ঠ অনুসারী এবং হরণী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন সক্রিয় ছিলেন। ২০২৩ সালের ২৮ নভেম্বর জিয়া মঞ্চের হরণী ইউনিয়ন শাখার কমিটি গঠনের সময় তাঁকে সভাপতি করা হয়। তবে এ বিষয়ে একাধিক নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেন, অতীতে জামসেদুল ইসলাম টুটুল বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের দমন-নিপীড়নে ভূমিকা রেখেছিলেন। তারা প্রশ্ন তোলেন, এমন একজন কীভাবে এখন জিয়া মঞ্চের মতো গুরুত্বপূর্ণ সংগঠনের সভাপতি পদে আসীন হলেন? এই প্রশ্নের জবাবে টুটুল জানান, “সাবেক এমপি মোহাম্মদ আলী জোর করে আমাকে আওয়ামী সংগঠনের পদে রেখেছিলেন। আমি তা লিখিতভাবে প্রত্যাখ্যান করেছি। রক্তাক্ত অবস্থায় আমাকে এলাকা ছাড়তে হয়েছিল। তিন বছর আমি এলাকায় থাকতে পারিনি।”তিনি আরও বলেন, “আমি ২০১৮ সালের আগ পর্যন্ত হরণী ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ছিলাম। সেই সময় আমার দুটি দোকান বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর আমি অনেকটা বাধ্য হয়েই এক সময় এমপির সঙ্গে যোগাযোগ করি। কিন্তু রাজনৈতিকভাবে নিষ্ক্রিয় থেকে অবশেষে আমি আবার বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় হই।”জানতে চাইলে হাতিয়া উপজেলা জিয়া মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক রিপন চন্দ্র দাস বলেন, “টুটুল ২০১৭ সালের দিকে হরণী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ছিলেন, বিষয়টি আমাদের অজানা ছিল। এখন বিষয়টি জানার পর কমিটি স্থগিত করা হয়েছে। তবে ২০১৮ সাল থেকে তিনি বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।”
এ বিষয়ে জেলা জিয়া মঞ্চের আহ্বায়ক মো: মনির হোসেন বলেন, “টুটুল এক সময় ছাত্রদলে যুক্ত ছিলেন এবং ২০২০ সালের পর থেকে তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরকারবিরোধী পোস্ট করে আসছেন। তবে অভিযোগ পাওয়ার পর আমরা পুরো কমিটিই বাতিল করেছি।”
তথ্যসূত্রে তালাশ বিডি.