মীর প্লাবন লাভলু -নিজস্ব প্রতিবেদক
জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার এক অসহায় গরু বিক্রেতা প্রতারণার শিকার হয়ে তিন মাস ধরে ঘুরেও ফেরত পাননি নিজের উপার্জিত টাকা। অবশেষে পুলিশের সক্রিয় ও মানবিক উদ্যোগে তিনি ফিরে পেয়েছেন নিজের ন্যায্য পাওনা—যা আবারও প্রমাণ করেছে, জনগণের দুর্দিনে পুলিশই প্রকৃত বন্ধু।ঘটনার শুরু প্রায় তিন মাস আগে। এক গরু বিক্রেতা স্থানীয় দালালদের মাধ্যমে গরু বিক্রি করেন ১ লাখ ২৫ হাজার টাকায়। কিন্তু বিক্রির এক সপ্তাহ পর দালালরা তাকে বুঝিয়ে দেয় মাত্র ৫০ হাজার টাকা। এরপর বাকি ৭৫ হাজার টাকা পাওয়ার জন্য তিনি মাসের পর মাস ছুটেছেন—দালালদের পেছনে, আশ্বাস আর ঠকাবার জালে।শেষ পর্যন্ত তিনি দ্বারস্থ হন আইনের। অভিযোগ পেয়ে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে আমলে নেন দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. নাজমুল হাসান। সৎ, সাহসী ও মানবিক এই পুলিশ কর্মকর্তার ব্যক্তিগত তত্ত্বাবধানে শুরু হয় তদন্ত। দ্রুত সময়ের মধ্যেই তিনি চিহ্নিত করেন প্রতারক চক্রকে এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দেন।ওসি হাসানের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ভুক্তভোগী গরু বিক্রেতা ফিরে পান বাকি ৭৫ হাজার টাকা—যা তার কাছে শুধু অর্থ নয়, দীর্ঘ লড়াইয়ের বিজয়।ভুক্তভোগী আবেগভরা কণ্ঠে বলেন:“তিন মাস ধরে টাকা ফেরত পাওয়ার আশা ছেড়ে দিয়েছিলাম। ওসি স্যারের সহযোগিতায় আমি আমার টাকা ফিরে পেয়েছি। আল্লাহ যেন উনাকে ভালো রাখেন।”এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দেওয়ানগঞ্জে তৈরি হয়েছে এক অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত। সাধারণ মানুষও জানাচ্ছেন প্রশংসা ও কৃতজ্ঞতা।স্থানীয় একজন বলেন, “ওসি নাজমুল হাসান স্যার সত্যিই একজন দায়িত্বশীল ও মানবিক কর্মকর্তা। তাঁর মতো অফিসার থাকলে জনগণ কখনোই অসহায় থাকে না। ‘পুলিশই জনতার বন্ধু’—এটা এখন আমাদের চোখের সামনে বাস্তব।”দেওয়ানগঞ্জে পুলিশের এই ইতিবাচক ও কার্যকর পদক্ষেপ প্রমাণ করে দিয়েছে—আইনের আশ্রয় নেওয়া মানুষ একা নয়, তার পাশে আছেন কর্তব্যপরায়ণ একদল রক্ষক, যাদের নাম পুলিশ।