মীর প্লাবন লাভলু:নিজস্ব প্রতিবেদক
জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার বেলতলি বাজার রেলগেট এলাকায় অবস্থিত মারিয়াম ইসলাম হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের আয়োজনে ২৯-৬-২৫ইং রোজ রবিবার এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।এ সভায় উপস্থিত ছিলেন উপজেলার চিকিৎসক, দেওয়ানগঞ্জ কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতির সদস্যবৃন্দ, সাংবাদিক, মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভ ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, সমাজসেবক ও পৌর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি সাদেক আক্তার নেওয়াজী টফি।প্রধান অতিথির বক্তব্যেটফি বলেন,"গরিব ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো শুধু দায়িত্ব নয়, এটি আমাদের মানবিক ও নৈতিক কর্তব্য। সমাজের সব মানুষ যেন ন্যূনতম চিকিৎসাসেবা পায়, সেটি নিশ্চিত করতেই আমাদের সকলের একসাথে কাজ করতে হবে। মানবসেবার চেয়ে বড় কোনো ইবাদত নেই। মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারাই প্রকৃত সাফল্য।"তিনি আরও বলেন,"আমি সবসময় চেষ্টা করি মানুষের পাশে দাঁড়াতে—বিশেষ করে যারা অর্থাভাবে চিকিৎসা নিতে পারে না, তাদের জন্য যেন কোনো ভালো চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান ভরসার জায়গা হয়ে দাঁড়ায়। মারিয়াম ইসলাম হাসপাতালের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো আমাদের আশার আলো। সবাই মিলে এটি আরও উন্নত ও সেবামূলক করে গড়ে তুলতে হবে।"সভায় সভাপতিত্ব করেন কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু ওবায়েদ লতা, এবং সঞ্চালনায় ছিলেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক ওয়াজেদ আলী।বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বারডেম হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. আরিফুল ইসলাম সিমুল, তিনি বলেন-"চিকিৎসা শুধু একটি পেশা নয়, এটি একটি মানবসেবা। একজন চিকিৎসকের সর্বোচ্চ দায়িত্ব হলো—অসহায় ও দুঃস্থ মানুষের পাশে দাঁড়ানো, তাদের সঠিক চিকিৎসাসেবা দেওয়া। গরিব মানুষের মুখে হাসি ফোটানোই একজন চিকিৎসকের সবচেয়ে বড় অর্জন।"তিনি আরও বলেন,"আজকের মতবিনিময় সভা শুধু একটি অনুষ্ঠান নয়, এটি একটি নতুন আশার সূচনা। মারিয়াম ইসলাম হাসপাতাল যদি সেবার মান বজায় রেখে গরিব মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারে, তবে সেটি হবে সমাজের জন্য একটি বড় অর্জন। চিকিৎসাকে ব্যবসা না করে সেবার ব্রত নিয়ে কাজ করলে, এই প্রতিষ্ঠান সমাজে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।"হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা এডভোকেট ফাতেমা খানম জুই বলেন-"আমার স্বপ্ন ছিল—শহরের উন্নত চিকিৎসাসেবা যেন গ্রামের দরজায় পৌঁছে যায়। সেই লক্ষ্যেই মারিয়াম ইসলাম হাসপাতালের পথচলা শুরু। এখানে যেন একজন রোগীও অর্থের অভাবে বিনা চিকিৎসায় ফিরে না যান, সেটিই আমাদের অঙ্গীকার।"তিনি আরও বলেন-"দেওয়ানগঞ্জের মানুষকে উন্নত স্বাস্থ্যসেবা দিতে এই হাসপাতালকে আধুনিক যন্ত্রপাতি ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে সাজানো হচ্ছে। আমরা চাই গ্রামের মানুষ যেন চিকিৎসার জন্য শহরে না ছুটে—নিজ এলাকা থেকেই বিশ্বস্ত ও উন্নত সেবা পান।"এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন,সাবেক ছাত্রনেতা একে মাহবুবুল হক বাবু, সাংবাদিক খাদেমুল ইসলাম, তারেক মাহমুদ ও অলিদ সহ-এলাকার বিশিষ্ট সাংবাদিকবৃন্দ, ঔষধ ব্যবসায়ী, মেডিকেল প্রতিনিধি এবং স্থানীয় সুধী সমাজের প্রতিনিধিরা।সভায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান, খুব শিগগিরই মারিয়াম ইসলাম হাসপাতালকে আধুনিক ও যুগোপযোগী করে গড়ে তোলার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। নিয়মিতভাবে বিভিন্ন রোগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা রোগী দেখবেন, এবং সর্বসাধারণ সাশ্রয়ী মূল্যে মানসম্মত চিকিৎসাসেবা পাবেন।সভাপতির বক্তব্যে স্থানীয় জনগণকে নতুন রূপে চালু হতে যাওয়া এ হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়।সভার শেষাংশে অতিথিরা একটি উন্নত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও সাধুবাদ জানান।